ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোলাকিয়ায় সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয়।

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৯৯ বার

কিশোরগঞ্জ, ১৮ জুলাই- কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠে শনিবার দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন ঈদগাহ মাঠের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার ঈদুল ফিতরে অন্তত এক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের এ জামাতটি দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত বলেও দাবি করে পরিচালনা পর্ষদ।
নামাজ শুরু হওয়ার আগে ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিচিত শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে আসছে।
ঈদগাহ মাঠ ও মাঠের বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমনটা দাবি করে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মুসল্লিরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারছেন।
পেছনের ইতিহাস: ১৮২৮ সাল থেকে শোলাকিয়ার এ মাঠটিতে ঈদের জামাত হয়ে আসছে। সৈয়দ আহম্মদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর ব্যক্তিগত মাঠে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। তিনিই প্রথম ঈদের জামাতে ইমামতি করেন।
নামকরণ: শোলাকিয়ার আগের নাম ছিল ‘রাজাবাড়ীয়া’। শোলাকিয়ার নামকরণ নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। প্রথমত, রাজাবাড়ীয়া ঈদগাহে একবার সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সোয়া লাখ থেকেই পরে শোলাকিয়া নামের উদ্ভব হয়েছে। অন্য মতটি হলো, মোগল আমলে এখানকার পরগনার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। কালের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সবশেষে শোলাকিয়া নাম হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শোলাকিয়ায় সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয়।

আপডেট টাইম : ০৯:৩০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

কিশোরগঞ্জ, ১৮ জুলাই- কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠে শনিবার দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন ঈদগাহ মাঠের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার ঈদুল ফিতরে অন্তত এক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের এ জামাতটি দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত বলেও দাবি করে পরিচালনা পর্ষদ।
নামাজ শুরু হওয়ার আগে ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিচিত শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে আসছে।
ঈদগাহ মাঠ ও মাঠের বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমনটা দাবি করে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মুসল্লিরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারছেন।
পেছনের ইতিহাস: ১৮২৮ সাল থেকে শোলাকিয়ার এ মাঠটিতে ঈদের জামাত হয়ে আসছে। সৈয়দ আহম্মদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর ব্যক্তিগত মাঠে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। তিনিই প্রথম ঈদের জামাতে ইমামতি করেন।
নামকরণ: শোলাকিয়ার আগের নাম ছিল ‘রাজাবাড়ীয়া’। শোলাকিয়ার নামকরণ নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। প্রথমত, রাজাবাড়ীয়া ঈদগাহে একবার সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সোয়া লাখ থেকেই পরে শোলাকিয়া নামের উদ্ভব হয়েছে। অন্য মতটি হলো, মোগল আমলে এখানকার পরগনার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। কালের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সবশেষে শোলাকিয়া নাম হয়েছে।